কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দিতে পারব। আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, মিডিয়া সারা পৃথিবীতে অপরিহার্য। সংবাদে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক বিধিবর্হিভূত কাজ ও অর্জন গণমাধ্যম তুলে ধরে।
বুধবার রাজধানীল একটি হোটেলে আয়োজিত ‘কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপ-২০১৯’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের জন্য মিডিয়া অপরিহার্য। কারণ মন্ত্রণালয়ে কি কাজ হচ্ছে তার গঠনমূলক সমালোচনা হলে সংশ্লিষ্টরা তা সংশোধন করে আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। মিডিয়া শুধু এটুকুই নয়, বিদেশিরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারবে কি না, বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ আছে কি না, মিডিয়ার মাধ্যমে তা তুলে ধরতে পারে এবং এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত তাহলে এত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার বছরে বাংলাদেশে খাদ্যে উৎপাদন ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে বর্তমানে দেশে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩ লাখ টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটূক্তি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমস্ত আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য অফিসার ড. মো. খালেদ কামাল।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। মূল প্রবন্ধ ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর সদস্য মো. হামিদুর রহমান।
পরে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিকরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন। একটি রিপোর্ট করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় না। তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্টরা অনেক সময় এড়িয়ে চলেন। এছাড়া তারা নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টি মান, সমন্বিত কৃষি, কৃষির উন্নয়ন, কৃষি পণ্যে রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন, সংস্থা প্রধান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক, প্রযোজক ও রিপোর্টারসহ প্রায় ১২০ জন অংশগ্রহণ করে।