নানা নাটকীয়তা শেষে বিএনপির ৪ নেতা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলে রাজনীতির দৃশ্যপট প্লাটে যায়। শুরু গুঞ্জন তাহলে কি শিগরিগিরই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি পাচ্ছেন?
এ শপথের নেপথ্যেই কী সরকারের সঙ্গে সমঝোতা এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাহলে কি ঐক্যফ্রন্টের দুই সংসদ সদস্য আবারও দলে ফেরানো হচ্ছে। নাকি তারা ফিরছেন না?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের দল থেকে নির্বাচিত দুই সদস্যের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত পুনবির্বেচনা হবে কি না তা আমি এককভাবে বলতে পারবো না।’
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই দলীয় ফোরামে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির আহমেদ খান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, পুরোনো ইতিহাস সামনে আনতে চাই না। অতীতে যা হয়েছে সেটা নিয়ে না ভেবে সামনের দিকে যেতে চাই। বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নিয়েছেন এটাকে আমি ইতিবাচক মনে করি। আমি অভিনন্দন জানাই।
শপথ নেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাই এক হয়ে সংসদে কথা বলবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির বলেন, অবশ্যই। ড. কামাল হোসেন জনগণের জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। আমাদের ঐক্য ঠিক আছে। এক হয়ে জনগণের জন্য কথা বলবো।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত ৭ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন গণফোরামের টিকিটে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এরপরই তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অপর দিকে গত ২ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান।
গত ২০ এপ্রিল গণফোরামের বৈঠকের পর তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।
বিএনপি সংসদে শপথ নেওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমি ৭ মার্চ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা সঠিক ছিল সেটা বিএনপির সংসদে যোগদানের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো।’
আপনি কি আবার গণফোরামে ফিরিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবো। আপাতত আমার এইটুকুই কথা।
জাতীয় সংসদে বিএনপির সদস্যদের সঙ্গে এক হয়ে কথা বলবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কথা বলবো। জনগণের স্বার্থে কথা বলবো।