গ্রীষ্ম মানেই রোদে-ঘামে ত্বকের বারোটা বেজে যাওয়া। যতই মেক-আপ করুন গরমে ত্বকের সমস্যা ঢাকা কঠিন। রোদ, ঘাম, ময়লা সব মিলিয়ে ত্বকের অবস্থা শোচনীয় হয় এই সময়ে। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা গরমে অ্যাকনে, ব্রণ এ সবের সমস্যায় জর্জরিত হন। তাই গরমে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি যত্ন নেওয়া উচিত।
গ্রীষ্মে তাই নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করার সঙ্গে সপ্তাহে দু’দিন অন্তত ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। গরমে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হওয়ায় যারা সমস্যায় পড়েন তাদের ক্লে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ট্যান বা কালো ছোপ দূর করার সঙ্গে এই ক্লে মাস্ক মুখের অতিরিক্ত তেলও বের করে দেয়। কিন্তু বাজারে অনেক রকমের ক্লে মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। তাদের বিভিন্ন রং। ভিন্ন সমস্যার জন্য ভিন্ন রংয়ের ক্লে মাস্ক রয়েছে। বাড়িতেও ঘরোয়া উপায় বানাতে পারেন বিভিন্ন ক্লে মাস্ক।
১. কালো: ধুলো, ময়লা সরিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে কালো ক্লে মাস্ক। যাদের ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ব্ল্যাকহেডস হয়, তারা এই ক্লে ব্যবহার করতে পারেন। চারকোল ক্লে মাস্ক খুব জনপ্রিয়। অনলাইনে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল পাউডার কিনে বাড়িতেই অন্য ফেস প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে কালো ক্লে মাস্কও তৈরি করে নিতে পারেন।
২. সাদা: ডিটক্স করার জন্য সাদা ক্লে মাস্ক সবচেয়ে ভাল। দোকান থেকে বা অনলাইনে অর্ডার করুন বেটোনাইট পাউডার। সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল আর কিছু বাড়তি ভিটামিন যোগ করতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। এভাবেই বাড়িতে সাদা ক্লে মাস্ক বানাতে পারেন।
৩. বাদামি: মুলতানি মাটি, চন্দন আর গোলাপ জল দিয়ে ক্লে মাস্ক বানিয়ে বাঙালিরা অনেক কাল ধরেই রূপচর্চা করে আসছেন। তাই এই ধরনের মাস্কের উপকারিতা আলাদা করে বোঝাতে হবে না। কোনো অনুষ্ঠানের আগের রাতে এই মাস্কটা লাগিয়ে নিন। পরের দিন উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে।
৪. সবুজ: যাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক বা অ্যাকনের সমস্যা বেশি তারা এই মাস্ক ব্যবহার করুন। ত্বকের খোলা কোষের ভিতর থেকে ধুলো ময়লা টেনে বের করে এই মাস্ক। বাজার থেকে বেটোনাইট ক্লে কিনে তার সঙ্গে টি-ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল আর ওটস মিশিয়ে বানাতে পারেন এই ধরনের সবুজ ক্লে মাস্ক।
৫. লাল: পিগমেনটেশনের সমস্যায় লাল বা গোলাপি ক্লে মাস্কের জুড়ি মেলা ভার। যাদের ত্বকে অনেক ওপেন পোর রয়েছে, তারা এই মাস্ক ব্যবহার করুন। লাল চন্দনের মুলতানি মাটির সঙ্গে বা অন্য সাধারণ ফেস প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে লাল ক্লে মাস্ক তৈরি করতে পারেন বাড়িতে।
তবে ক্লে মাস্ক মুখে রাখার পরে শুকিয়ে কাঠ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। এতে ত্বক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। বরং হালকা নরম থাকতে থাকতে তুলে ফেলুন।