পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, মেয়াদভিত্তিক প্রকল্প থেকে পাওয়া সুফল স্থায়ী হয় না। তাই বহুমাত্রিক দারিদ্র্য দূর করতে প্রয়োজন মানবকেন্দ্রিক সমন্বিত উদ্যোগ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে পরিচালিত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি (ইউপিপি) ‘উজ্জীবিত কম্পোনেন্টের’ সমাপনী সেমিনারে এ কথা বলেন অর্থনীতিবিদ খলীকুজ্জমান। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফের কার্যালয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এ সেমিনার।
খলীকুজ্জমান বলেন, গত এক দশকে দেশ অনেক এগিয়েছে। এই উন্নয়নকে টেকসই করতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার প্রতি জোর দিতে হবে। ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’, এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে টেকসই কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট সেক্রেটারি মানফ্রিড ফারনহোলজ বলেন, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের কাতারে আজ অবস্থান করছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রকল্পভিত্তিক সহায়তা করা থেকে সরে এসে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ খাত বিবেচনায় নিয়ে খাতভিত্তিক সহায়তা প্রদানের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি অবহিত করেন।
উজ্জীবিত প্রকল্পটি ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়। এর বাজেট ছিল ১১ দশমিক ০৫ মিলিয়ন ইউরো। পিকেএসএফ ৩৬টি নির্বাচিত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ১ হাজার ৭২৪টি ইউনিয়নে প্রকল্পের উজ্জীবিত কম্পোনেন্টটি বাস্তবায়ন করেছে। এসব এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার নারীপ্রধান এবং অতিনাজুক অতিদরিদ্র পরিবারকে চরম দারিদ্র্য অবস্থা থেকে টেকসইভাবে প্রাগ্রসর করাই ছিলে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
সেমিনারে প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। উজ্জীবিত প্রকল্পের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন পিকেএসএফের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম নুরুজ্জামান। সেমিনারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও পিকেএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।