গুঞ্জনটা সোমবার দুপুরের পর থেকে সত্য হতে থাকে। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিকেলে ঠিকই এমপি হিসেবে শপথ নেন বিএনপির চার নেতা।
তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন অর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইঞা।
আগেই ২৫ এপ্রিল এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ (রানীশংকৈল) আসনের বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান।
কিন্তু, তখনো ধোঁয়াশা, তারা কি জাহিদুরের মতো দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলেন? এরই মধ্যে শপথ শেষে সাংবাদিকদের কাছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব হারুন অর রশীদ জানান, তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ নিয়েছেন।
এতেও কোনো কিছু স্পষ্ট না। এরই মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। চার নেতার শপথের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন। নিজের শপথ নিয়েও কথা বলেন।
কিন্তু, অবাক করার বিষয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল। অথচ সেখানে কোনো সিনিয়র নেতা নেই, যারা সচরাচর তার পাশে বসে থাকেন। শুধু তাই নয়, সেখানে কোনো সারিরই চোখে পড়ার মতো নেতাকে দেখা যায়নি!
মির্জা ফখরুলের জীবনে সম্ভবত প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। অথচ অন্য সময় ছোটখাটো ব্রিফিংয়েও তার পাশ থেকে নেতা ঠেলে নড়ানো যায় না।
কেন মির্জা ফখরুল একা সংবাদ করলেন, এ বিষয়ে সিনিয়র কোনো নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে বিএনপি চেয়াপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘মিটিং থাকলে নেতারা কার্যালয়ে উপস্থিত থাকেন। আজ যেহেতু কোনো মিটিং ছিল না, তাই হয়তো নেতারা আসেননি।’
এর বাইরে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দলীয় প্রধানের মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবির পক্ষে কথা বলতেই চার নেতা সংসদে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘ আমাদের চার নেতা আজ শপথ নিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই তারা সংসদে যাচ্ছেন।’