ইরানের তেল শিল্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী তেল বাজারের স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন তেহরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ব ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ইরানের উপতেলমন্ত্রী আমির হোসেইন জামানিনিয়া শানা নিউজকে এসব কথা বলেন।
আমির হোসেইন জামানিনিয়া বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে বিশ্ব ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে।
ইরানের তেল রফতানি কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের রাজস্ব আয়ের শীর্ষ মাধ্যমটিকে লক্ষ্য বানিয়েছে। কাজেই মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির প্রভাব কমিয়ে আনতে ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অস্থিতিশীল তৎপরতার অবসানে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন ও তার মিত্ররা অনড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জোর দিয়ে বলেছেন, আগামী ২ মের পর যেসব দেশ ইরান থেকে তেল কিনবে, তাদের শাস্তি পেতে হবে। তবে কীভাবে সাজা দেয়া হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি- যদি আপনি এ নীতি অমান্য করেন, তবে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাব।
এ ছাড়া গ্রিস, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানও ইরান থেকে তেল ক্রয় কমিয়ে দিয়েছে। আর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সর্বশেষ সময়সীমা নিয়ে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করবেন।
ইরান থেকে তেল কেনা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর রাতের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে।
সূত্র: ইয়েনি শাফাক